যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।
তেমনি দু-একদিন দু-একটা ছোট কাজ শেষ করে বসে থাকলে হবে না। আবার, একদিনে টানা ১৫ ঘন্টা কাজ করলেও হবে না। সফলতা পাবার জন্য কাজের মধ্যে ধারাবাহিকতা খুব জরুরি। সব সময় চেষ্টা করুন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার।
বেশির ভাগ মানুষের কোন কাজে সফল না হবার কারণ তারা দু-একবার ব্যর্থতার পর আর সেই কাজে লেগে থাকে না। হক কথা একটাই, লেগে না থাকলে সফলতা আসবে না। আমরা আমাদের চারপাশে যে বড় সফল কোম্পানিগুলো দেখে আসছি, তারা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেই আজ নিজেদের একটি সফল অবস্থানে দাড় করাতে সক্ষম হয়েছে।
মনে রাখবেন এসব এক মিনিটে, এক ঘন্টায়, এক দিনে কিংবা এক বছরে হয়নি। এরজন্য তাদের একটা নির্দিস্ট সময় ধরে লেগে থাকতে হয়েছে।
এই যে দেখুন আপনিই তো আপনার জীবনের বড় উদাহরন, আপনার নিজের কথাই চিন্তা করুন একবার, আপনি তো জন্মের পরে প্রথম বারেই হাঁটতে শেখেন নি। প্রথমে হামাগুড়ি দিয়েছেন, অনেকবার পড়ে গেছেন। তারপর আস্তে আস্তে হাঁটতে শিখেছেন।
তাই বলছি, ধৈর্য ধরুন, সময় দিন, লেগে থাকুন।
আপনার শুভকামনায়।
Power motivation মটিভেশন গল্প
সফলতার গল্প অনুপ্রেরণা গল্প
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছোট কি বড় তা বিচার করতে বসা বোকামি। কারো লক্ষ্য অনেক বড় দেখে যদি আপনি এটাকে অসম্ভব বলে ধরে নেন, তবে এতে আপনার মানসিক দুর্বলতাই প্রকাশ পায়। আপনার লক্ষ্য যদি অনেক বড় হয়, চেষ্টা করতে পারেন ছোট ছোট ধাপে আপনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের। নিজেকে মনে করিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে আপনি আপনার লক্ষ্যমাত্রাটি লিখেও রাখতে পারেন।
পৃথিবীর অনেক কীর্তিমান মানুষ গৌরব অর্জন করেছেন তাঁদের ‘বড়’ লক্ষ্যমাত্রার কারনেই। মধ্যবিত্ত আমেরিকানদের সাধ্যের মধ্যে ব্যাপক হারে গাড়ি তৈরির ‘বড়’ লক্ষ্যমাত্রা না থাকলে আজ আমরা হেনরি ফোর্ড এর নাম জানতাম না। চার-চারটি টেনিস গ্রান্ড স্লাম জয়ের ‘বড়’ লক্ষ্যমাত্রা না থাকলে রজার ফেদেরার দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করতে পারতেন কি না সন্দেহ।
ভেবে দেখুন, আপনার লক্ষ্যমাত্রা কি এগুলোর চাইতেও ‘বড়’ নাকি ছোট?
প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি মানুষেরই কিছু না কিছু কমতি থেকেই যায়। কোনো না কোনো ক্ষেত্রে সকলেই ব্যর্থ।
হয়তো আপনি যাকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত, সেও আপনার কোনো সফলতা নিয়ে পরশ্রীকাতর।
যে সফলতাকে আপনি হয়তো অবজ্ঞা করে চলেছেন।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায়- সবকিছু ভুলে নিজেকে ভালোবাসা, নিজের মতো হওয়া।
কেননা স্টিভ জবস বলেন,
"সময় খুব সীমিত, সুতরাং কেন অন্যের জীবনকে যাপন করে তার অপচয় করবেন?"
ঠিক তাই!
সফলতার ধাপ তখনই শুরু হয় যখন আপনি সিদ্ধান্ত নেন, আপনি নিজের মতো হবেন।
আপনার শুভকামনায়।
লেখাটি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান ডা. Shahjad Hossain Masum স্যারের.. সময় থাকতে সতর্ক হোন, দয়া করে সতর্ক হোন...
"কোভিড পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। মাস দুয়েক একটু শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। কখনো একটা বেডও খালি রাখতে না পারলেও রোগিদের ওয়ার্ডে শিফট করা যাচ্ছিল। মৃত্যুহার অনেক কম ছিল। এক সপ্তাহের মাঝে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আক্ষরিকভাবে রোগিদের বাঁচিয়ে রাখতে আমরা এখন যুদ্ধ করছি এবং হেরে যাচ্ছি। বারবার। এই পরিবর্তন আমরা আমাদের চোখের সামনে ঘটতে দেখছি।
আমাদের কথায় আপনারা বিরক্ত হন জানি, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই, আমরা বারবার বলে যাই। কেউ না শুনলেও, সবাই মুচকি হাসলেও আমাদের বলে যেতে হবে। একটুখানি শ্বাস বুকের ভিতরে নেওয়ার জন্য মানুষের তীব্র কষ্টটা আপনারা কেউ পাশে দাঁড়িয়ে দেখেন না, শেষ সময়ের কষ্টটা কি তীব্র! আমার তেমন কোন শত্রু নেই, থাকলেও আমি তার এমন মৃত্যু চাইতাম না।
এর বিস্তার বাইরে থেকে তেমন বোঝা যায়না। যেই পরিবারের কেউ এর মাঝ দিয়ে যায় শুধু তারা জানেন। হয়তো আমরা আরেকটি ওয়েভের শুরুর পথে । এই সময়ে রোগিরা দ্রুত খারাপ হচ্ছেন। মনে রাখবেন, এখনো কোভিডের কোন চিকিৎসা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। তাই এর প্রতিরোধই একমাত্র পথ।
আমাদের ফোন আবার ব্যাস্ত হয়ে গেছে চেনা অচেনা মানুষের কলে। খুব কষ্ট হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু করার থাকেনা।
বিশ্বাস করুন, আমাদের একমাত্র চাওয়া সবাই ভালো থাকুন। কার্ভের শুরুতে যদি এই অবস্থা থাকে তবে এর পিকে আমরাই বা কেমন থাকবো।
অনুরোধ জানাই বিনয়ের সাথে:
১. সকল সামাজিক জমায়েত থেকে অসামাজিকভাবে দূরে থাকুন।
২. পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপদ রাখুন। (তবে এটাও মনে রাখবেন এবার আমরা প্রচুর তরুন রোগিও পাচ্ছি।)
৩. গত বছর মার্চ মাসে যে সকল সাবধানতা পালন করেছিলেন সেগুলোই একইভাবে পালন করুন, রিলিজিয়াসলী।
৪. মাস্ক নিজে পড়ুন, অন্যকে পড়তে বাধ্য করুন। প্রয়োজনে সীন ক্রিয়েট করুন।
৫. হাত সাবান দিয়ে বারবার ধুয়ে নিন। না পারলে স্যানিটাইজ করুন।
৬. অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া একদম বন্ধ করে দিন, এই মুহুর্ত থেকে।
৭. বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় আর হৃদয় প্রসারিত করতে হয়।
পরম করুনাময় সবাইকে নিরাপদ রাখুন।"