কীভাবে নিজেকে সর্বদা মোটিভেটেড রেখে নিজের লক্ষ্য বা স্বপ্ন অর্জনের পথে অবিচল থাকা যায়?

0

 কীভাবে নিজেকে সর্বদা মোটিভেটেড রেখে নিজের লক্ষ্য বা স্বপ্ন অর্জনের পথে অবিচল থাকা যায়?



ধরুন আপনার সামনে একটা কুকুর আছে।আপনি কুকুরটার দিকে একটা হাড্ডি ছুঁড়ে দিচ্ছেন আর কুকুরটা লাফ দিয়ে ধরার চেষ্টা করছে।

কুকুরটা তার সর্বোচ্চ উৎসাহের সাথে দৌড়ে গিয়ে লাফ দিয়ে হাড্ডিটা ধরে ফেলছে এবং আপনার কাছে নিয়ে আসছে।

এভাবে ১ বার হাড্ডি ছুঁড়েন কি ১০০ বার, প্রত্যেকবার কুকুরটার মধ্যে সমান আগ্রহ দেখবেন।

এবার কুকুরের বদলে একটা সিংহকে কল্পনা করুন। একইভাবে একটা হাড্ডি সিংহের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হলে সিংহটা কী করবে?

সিংহটা কিন্তু ভুলেও হাড্ডির পিছে ছুঁটবে না।কেন জানেন?কারণ—সিংহ একটা হাড্ডির বদলে তার সামনে এক বাক্স হাড্ডি দেখতে পায়—আপনি, হাড্ডির গোডাউন সাথে মাংস ফ্রি!সিংহ ছোট ছবির (একটা হাড্ডি) পরিবর্তে আরও বড় ছবি (হাড্ডির বাক্স) তার সামনে দেখতে পায়।সিংহটার মনোযোগ থাকে তখন আপনাকে খাওয়ার প্রতি, ওই একটা হাড্ডি চুলোয় যাক।এখানে কুকুর আর সিংহ দুজনেরই একটা মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু আছে। কুকুরের ক্ষেত্রে ছুঁড়ে দেয়া একটা হাড্ডি আর সিংহের ক্ষেত্রে—হাড্ডির বাক্স।কিন্তু কেবল এই মনোযোগ তাদের সফলতার চূড়ায় নিয়ে যাবে না।কুকুরের সামনে যতবারই হাড্ডি ছুঁড়ে দেয়া হোক না কেন কুকুর প্রতিবার একটা ছোট ছবি দেখবে এবং সমান উৎসাহে—পূর্ণ মনোযোগের সহিত সাড়া দিবে।

আর সিংহের দিকে হাজারবার ওমন মাংসছাড়া হাড্ডি ছুঁড়ে দিলেও সিংহ সেদিকে কর্ণপাত না করে, তার পূর্ণ মনোযোগ একদিকেই রাখবে—অপেক্ষাকৃত বড় ছবিটায় (মাংসসহ হাড্ডির বাক্স-আপনি)।ছোট ছবিগুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে বড় ছবিতে মনোযোগ ধরে রাখাটায় সফলতার দিকে নিয়ে যায়।

জীবন চলার পথে আমাদের দিকে এমন অসংখ্য মাংসছাড়া হাড্ডি ছুঁড়ে দিবে। সেসব আপনার আকর্ষণ কেড়েও নিবে কেননা আমরা মানুষ। আমাদের মনোযোগ সেদিকে চলেই যাবে।

আর তাই নিজেকে প্রতিমুহূর্তে সিংহের মত বড় ছবিটা দেখার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।


নিজের বড় ছবি বা জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে সিংহের মত সবসময় বড় ছবিটায় মনোযোগ দিতে শিখুন।


কখনো ভেবেছেন বিশ্বজয়ীরা ভিন্ন কী করেন যার কারণে তাঁরা সফল? 


তাঁরা নতুনতর প্রযুক্তির অবতারণা করতে পারছেন কারণ তারা 'ভাবেন'। 


অতীত নিয়ে ভেবে অতীতের সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায় বের করেন। কিন্তু আমরা অতীতের সমস্যাকে শক্তিতে না পরিনত করে সেটাতে ডুবে যাই। এমনভাবেই ডুবে যাই যেখানে আমরা আমাদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতকে হারিয়ে বসি। 


তাই বলছি, ভবিষ্যতের সমস্যা অনুমান করে সময়োপযোগী সমাধান ভেবে রাখুন। এবং সেটার প্রতিফলন বর্তমান থেকেই আস্তে আস্তে শুরু করুন।  


লিংকড-ইন সিইও জেফ ওয়েইনার প্রতিদিন দুই ঘন্টা সময় আলাদা করেন কেবল চিন্তার জন্যে। এ.ও.এল. সিইও টিম আর্মস্ট্রং তাঁর সবচেয়ে দক্ষ টিমদের দিয়ে সপ্তাহে চার ঘন্টা ব্যয় করান ভাবনাচিন্তায়।


একটা কাজ করতে পারেন, প্রতিদিন এক ঘন্টা সব ছেড়েছুড়ে স্রেফ দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকুন। অনেকটা ধ্যানের মতন। ভাবুন নিজেকে, চারপাশকে নিয়ে; অতীতের ভুলগুলোর কথা- কী করলে ওগুলো এড়ানো যেতো। যা পড়েছেন সেগুলো থেকে কী শিখলেন তা নিয়ে ভাবুন। যেসময়টা চিন্তাভাবনায় ব্যয় করবেন, সেসময়ে অন্য কোনো কাজ, সমস্যা দিয়ে মনযোগ নষ্ট করবেননা। মনোনিবেশ ধরে রাখুন। শুরু করুন পনেরো মিনিট দিয়ে। 


আপাতদৃষ্টে মনে হতে পারে, এ কেবলই সময়ক্ষেপণ। কিন্তু এই অভ্যাসটি আপনার মনযোগ, একাগ্রতা ধরে রাখতে প্রচন্ড সাহায্য করবে যা আপনার চাকুরীক্ষেত্রে বা পড়াশোনায় দারুণ কাজে লাগবে। সাহায্য করবে অন্যদের চাইতে দক্ষতরভাবে চিন্তা ও কাজ করতে।সফলতা আসবেই। 


টুকটাক মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে আমরা অনেকেই আমরা আমাদের জীবনকে চালিয়ে নিয়ে যাই। কিন্তু এই মানসিক যন্ত্রণাগুলো অনেকটাই আমাদের ছোট্ট সুন্দর জীবনটাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। তো কেনো ছাড় দিবেন এইসব মানসিক যন্ত্রণাকে। 


চলুন আজ আপনাদের জানাবো মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার ছোট্ট কিছু উপায় 


১. কি নিয়ে মানসিক যন্ত্রনা পাচ্ছেন ,তা ডায়েরি বা কোন কাগজে লিখুন। লেখার সময় বিস্তারিতভাবে লিখবেন।


ক. দোষটা যদি আপনার হয়, নিজেকে এই বলে শান্ত করুন ভুল করেছি, এরকম করা উচিত হয়নি, ঐরকম করলে ভালো হতো। এই ধরনের ভুল ভবিষ্যতে আর করব। এটি হচ্ছে নিজের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করা। এতে মানুসিক শান্তি পাওয়া যায়।


খ . নিজের ভুল বুঝতে পারার পরে, যদি এখনো কোন সমাধানের সুযোগ থাকে, তবে সমাধানের চেষ্টা করুন। আর যদি সুযোগ না থাকে, তবে তা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এবং ভবিষ্যতে ভুল না করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে উঠুন।


গ. আর যদি দোষটা অন্যের হয়, তবে অন্যের প্রতি প্রত্যাশা কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। দেখবেন যখন অন্যের থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন না, তখন অন্যের থেকে পাওয়া কষ্টকে কষ্টই মনে হবে না।


২. যেসব ঘটনার পিছনে জগতের কারও কোন হাত নেই, সেসব কষ্টগুলোকে বা ঘটনাগুলোকে স্রষ্টার কাছে বেশি বেশি করে বলুন, প্রার্থনার মাধ্যমে স্রষ্টার কাছে উপায় খুঁজুন। দেখবেন আপনার মানসিক যন্ত্রনাগুলো অনেকটাই হালকা হয়ে গেছে।


একটা বিষয় মনে রাখবেন এই জীবনযুদ্ধ একান্তই আপনার। ছোট খাট এসব মানসিক যন্ত্রণায় টলে যাবার পাত্র আপনি নন। জীবনকে গড়ে তুলুন বাস্তবতার নিরিখে।  

#সফলতা #অতীত #sofolota #জীবন #অনুপ্রেরণা #বাস্তবতা

#সফলতা #sofolota #আত্মবিশ্বাসী #জীবন #অনুপ্রেরণা #বর্তমান #অতীত

#মোটিভেশন #আত্মবিশ্বাসী #অনুপ্রেরণা #বাস্তবতা #সফলতা #পার্সোনাল_ডেভেলপমেন্ট #জীবন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top