আপনার মনের উপর আপনার ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করার নেই। এটা উপলব্ধি করুন, আপনি শক্তি পাবেন এবং অবশ্যই জিতবেন।
একদিন তারা একটি কেটে যাওয়া ঘুড়ির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে তাদের গ্রাম ছাড়িয়ে অনেকটাই দূরে চলে আসে। এবং কাটা ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বড় বাচ্চাটি যার বয়স ১০ বছর, সে একটি কুয়ায় পড়ে যায়।
কুয়ায় পড়ে বাচ্চাটি সাঁতার না জানার দরুন হাবু ডুবু খেতে থাকে এবং চিৎকার করতে থাকে বাঁচাও বাঁচাও। এবার অপর বাচ্চাটি যার বয়স ৬ বছর, সে আসে পাশে তকিয়ে দেখতে থাকে, যদি কারও থেকে সাহায্য পাওয়া যায়। কিন্তু সে কাউকে দেখতে পায় না।
তারপর তার নজরে আসে কুয়ার পাশে থাকা একটি বালতির দিকে। সে দেখল সেই বলতিটিতে একটি দঁড়িও বাধা আছে। বাচ্ছাটি আর সময় নষ্ট না করে বালতিটি কুয়ায় ফেলে দিল, এবং তার বন্ধুকে বলল বালতিটা শক্ত করে ধরার জন্য।
তার বন্ধু বালতিটি চেপে ধরার পর, ছোট বাচ্চাটি দঁড়ির অপর প্রান্ত ধরে প্রান পনে পাগলের মত টানতে থাকে। বাচ্চাটি তার সর্ব শক্তি লাগিয়ে দেয় কুয়ার পড়ে যাওয়া বন্ধুর প্রান বাঁচানোর জন্য। সে ততক্ষণ দড়ি ধরে টানতে থাকে যতক্ষণ না তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে আসে। অবশেষে বড় বাচ্চাটি উপরে উঠে আসে।
তারা আনন্দে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে। তাদের চোখে আনন্দে জল এসে যায়। কিন্তু পরক্ষনেই তাদের ভয় লাগতে লাগে, যে গ্রামে গিয়ে কি বলবে? এসব শুনে সবাই বকা বকি করবে। বাড়িতে মারও খেতে হতে পারে। ভয়ে ভয়ে তারা গ্রামে ফেরে।
কিন্তু গ্রামে ফিরে তারা যা ভাবছিল তার কিছুই হল না। তারা যখন এইসব কান্ড গ্রামার সবাই কে বলল, তারা বিশ্বাসই করল না বরং হেসে উড়িয়ে দিল। কারন তাদের মাথাথেই আসছিল না, যে বাচ্চাটি একটি পুর জল ভর্তি বালতি তুলতে পারে না, সে কি ভাবে এই ১০ বছরের বাচ্চাটিকে কুয়া থেকে তুলে আনল? সেটা কিছুতেই সম্ভব নয়।
কিন্তু সেই গ্রামে এক বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। তাকে সবাই করিম চাচা বলেই ডাকত। যিনি ছিলেই এই গ্রামের মধ্যে সবথেকে বুদ্ধিমান এবং সমঝদার ব্যক্তি। তিনি কিন্তু এই ঘটনাটা বিশ্বাস করলেন।
এবার গ্রামার সবাই ভাবতে লাগলেন যে করিম চাচা কোনদিন বাজে কথা বা মিথ্যা কথা বলেন না। তা উনি যখন বলছেন তো নিশ্চই কোন ব্যাপার আছে। গ্রামের সবাই দলবেঁধে সেই করিম চাচার কাছে গেলেন এবং উনাকে জিজ্ঞেস করলেন - চাচা আমরা তো এতশত কিছুই বুঝি না, তো আপনি একটু বুঝিয়ে বলুন যে এটা কি ভাবে সম্ভব হল?
চাচা হেসে ফেললেন এবং বললেন - আমি কি বলব? বাচ্চাটা বলছে তো সে কি করেছে। বালতিটি কুয়ায় ফেলল, তার বন্ধু সেটি চেপে ধরল এবং সে তার বন্ধুকে টেনে তুলে আনল। আপনারা তো সবই শুনলেন। এখানে আমার আর কি বলার আছে।
গ্রামার সবাই করিম চাচার মুখের দিকে তিকিয়ে রইল। তারপর কিছুক্ষন থেকে করিম চাচা বলল – প্রশ্ন এটা নয় যে সেই ছোট বাচ্চাটি এটা কি ভাবে করল? প্রশ্ন হল সে কেন এটা করতে পারল? ওর মধ্যে এত শক্তি কোথা থেকে এল?
তারপর বলল এটির শুধু একটাই উত্তর আছে- যে সময় ছোট বাচ্চাটি এই কাজটা করতে যাচ্ছেল তার আসে পাশে এমন কেউ ছিল না, যে বাচ্চাটিকে বলতে পারে যে তার দ্বারা এটা সম্ভব নয়। কেউ ছিল না, কেউ না এমনকি এই বাচ্চাটিও তার নিজের মধ্যে ছিল না।
একটা কথা মন দিয়ে শুনুন মানুষ পারে না এমন কোন কাজ নেই, যদি সে সেটা করতে চায়। তার জন্য প্রয়োজন অন্তরের শক্তি।
তাই বলব নিজের অন্তরের শক্তিকে উপলব্ধি করুন, দেখবেন যে কোন কাজে আপনি একাই একশ। আর বলব এমন কাজ করুন যা পর দুনীয়া আপনার মত করতে চায়। কারন জীতবে তারাই যারা কিছু করে দেখাবে।
ইতিবাচক ভাবুন – ইতিবাচক বলুন – ইতিবাচক অনুভব করুন
Short motivational story - Inner strength |
আজকের গল্প ‘অন্তরের শক্তি’।
আজকের গল্পটি দুটি বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে। যারা একটি গ্রামে বসবাস করত। তাদের মধ্যে একটি বাচ্চার বয়স ছিল ৬ বছর এবং আরেকটি বাচ্চার ১০ বছর। তারা খুব ভাল বন্ধু ছিল। তারা একসাথে খেলতো, খাবার খেত, একসাথে স্কুলে যেত, দুষ্টমিও একইসাথে করত।একদিন তারা একটি কেটে যাওয়া ঘুড়ির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে তাদের গ্রাম ছাড়িয়ে অনেকটাই দূরে চলে আসে। এবং কাটা ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বড় বাচ্চাটি যার বয়স ১০ বছর, সে একটি কুয়ায় পড়ে যায়।
কুয়ায় পড়ে বাচ্চাটি সাঁতার না জানার দরুন হাবু ডুবু খেতে থাকে এবং চিৎকার করতে থাকে বাঁচাও বাঁচাও। এবার অপর বাচ্চাটি যার বয়স ৬ বছর, সে আসে পাশে তকিয়ে দেখতে থাকে, যদি কারও থেকে সাহায্য পাওয়া যায়। কিন্তু সে কাউকে দেখতে পায় না।
তারপর তার নজরে আসে কুয়ার পাশে থাকা একটি বালতির দিকে। সে দেখল সেই বলতিটিতে একটি দঁড়িও বাধা আছে। বাচ্ছাটি আর সময় নষ্ট না করে বালতিটি কুয়ায় ফেলে দিল, এবং তার বন্ধুকে বলল বালতিটা শক্ত করে ধরার জন্য।
তার বন্ধু বালতিটি চেপে ধরার পর, ছোট বাচ্চাটি দঁড়ির অপর প্রান্ত ধরে প্রান পনে পাগলের মত টানতে থাকে। বাচ্চাটি তার সর্ব শক্তি লাগিয়ে দেয় কুয়ার পড়ে যাওয়া বন্ধুর প্রান বাঁচানোর জন্য। সে ততক্ষণ দড়ি ধরে টানতে থাকে যতক্ষণ না তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে আসে। অবশেষে বড় বাচ্চাটি উপরে উঠে আসে।
তারা আনন্দে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে। তাদের চোখে আনন্দে জল এসে যায়। কিন্তু পরক্ষনেই তাদের ভয় লাগতে লাগে, যে গ্রামে গিয়ে কি বলবে? এসব শুনে সবাই বকা বকি করবে। বাড়িতে মারও খেতে হতে পারে। ভয়ে ভয়ে তারা গ্রামে ফেরে।
কিন্তু গ্রামে ফিরে তারা যা ভাবছিল তার কিছুই হল না। তারা যখন এইসব কান্ড গ্রামার সবাই কে বলল, তারা বিশ্বাসই করল না বরং হেসে উড়িয়ে দিল। কারন তাদের মাথাথেই আসছিল না, যে বাচ্চাটি একটি পুর জল ভর্তি বালতি তুলতে পারে না, সে কি ভাবে এই ১০ বছরের বাচ্চাটিকে কুয়া থেকে তুলে আনল? সেটা কিছুতেই সম্ভব নয়।
কিন্তু সেই গ্রামে এক বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। তাকে সবাই করিম চাচা বলেই ডাকত। যিনি ছিলেই এই গ্রামের মধ্যে সবথেকে বুদ্ধিমান এবং সমঝদার ব্যক্তি। তিনি কিন্তু এই ঘটনাটা বিশ্বাস করলেন।
এবার গ্রামার সবাই ভাবতে লাগলেন যে করিম চাচা কোনদিন বাজে কথা বা মিথ্যা কথা বলেন না। তা উনি যখন বলছেন তো নিশ্চই কোন ব্যাপার আছে। গ্রামের সবাই দলবেঁধে সেই করিম চাচার কাছে গেলেন এবং উনাকে জিজ্ঞেস করলেন - চাচা আমরা তো এতশত কিছুই বুঝি না, তো আপনি একটু বুঝিয়ে বলুন যে এটা কি ভাবে সম্ভব হল?
চাচা হেসে ফেললেন এবং বললেন - আমি কি বলব? বাচ্চাটা বলছে তো সে কি করেছে। বালতিটি কুয়ায় ফেলল, তার বন্ধু সেটি চেপে ধরল এবং সে তার বন্ধুকে টেনে তুলে আনল। আপনারা তো সবই শুনলেন। এখানে আমার আর কি বলার আছে।
গ্রামার সবাই করিম চাচার মুখের দিকে তিকিয়ে রইল। তারপর কিছুক্ষন থেকে করিম চাচা বলল – প্রশ্ন এটা নয় যে সেই ছোট বাচ্চাটি এটা কি ভাবে করল? প্রশ্ন হল সে কেন এটা করতে পারল? ওর মধ্যে এত শক্তি কোথা থেকে এল?
তারপর বলল এটির শুধু একটাই উত্তর আছে- যে সময় ছোট বাচ্চাটি এই কাজটা করতে যাচ্ছেল তার আসে পাশে এমন কেউ ছিল না, যে বাচ্চাটিকে বলতে পারে যে তার দ্বারা এটা সম্ভব নয়। কেউ ছিল না, কেউ না এমনকি এই বাচ্চাটিও তার নিজের মধ্যে ছিল না।
এই গল্পটা থেকে কি শিখলাম?
তো বন্ধুরা এই গল্পটি থেকে আমরা একটি অনেক বড় শিক্ষা পাই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা আজ বিভিন্ন কাজে হেরে যাই তার একটাই কারন, আমাদের আশে পাশের মানুষেরা আমদের এটা বলতে থাকে যে এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয় বা এটা আমার দ্বারা হবে না।একটা কথা মন দিয়ে শুনুন মানুষ পারে না এমন কোন কাজ নেই, যদি সে সেটা করতে চায়। তার জন্য প্রয়োজন অন্তরের শক্তি।
তাই বলব নিজের অন্তরের শক্তিকে উপলব্ধি করুন, দেখবেন যে কোন কাজে আপনি একাই একশ। আর বলব এমন কাজ করুন যা পর দুনীয়া আপনার মত করতে চায়। কারন জীতবে তারাই যারা কিছু করে দেখাবে।
ইতিবাচক ভাবুন – ইতিবাচক বলুন – ইতিবাচক অনুভব করুন
- বাংলা WhatsApp+Facebook এর সমস্ত রকমের ভালোবাসার স্ট্যাটাস শুধু মাত্র
- Romantic Status তে ক্লিক করুন। দেখুন
- বাংলা সায়েরি সহ প্রেমের কাহিনী ছন্দ কবিতা ফটো স্ট্যাটাস WhatsApp ভিডিও স্ট্যাটাস পান কেবল মাত্র
- l Rony_Officiaতে ক্লিক করুন।
- নিজেকে সবসময় Motivated রাখতে বাংলাতে মোটিভেশন গল্প পড়ুন নিজেকে ভালো রাখুন
- Power Motivation তে ক্লিক করুন।
- পেয়ে যান ভালোবাসার কবিতা সহ ভিডিও স্ট্যাটাস
- Love Story তে ক্লিক করুন।