কীভাবে নিজেকে সর্বদা মোটিভেটেড রেখে নিজের লক্ষ্য বা স্বপ্ন অর্জনের পথে অবিচল থাকা যায়?
ধরুন আপনার সামনে একটা কুকুর আছে।
আপনি কুকুরটার দিকে একটা হাড্ডি ছুঁড়ে দিচ্ছেন আর কুকুরটা লাফ দিয়ে ধরার চেষ্টা করছে।
কুকুরটা তার সর্বোচ্চ উৎসাহের সাথে দৌড়ে গিয়ে লাফ দিয়ে হাড্ডিটা ধরে ফেলছে এবং আপনার কাছে নিয়ে আসছে।
এভাবে ১ বার হাড্ডি ছুঁড়েন কি ১০০ বার, প্রত্যেকবার কুকুরটার মধ্যে সমান আগ্রহ দেখবেন।
এবার কুকুরের বদলে একটা সিংহকে কল্পনা করুন। একইভাবে একটা হাড্ডি সিংহের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হলে সিংহটা কী করবে?
সিংহটা কিন্তু ভুলেও হাড্ডির পিছে ছুঁটবে না।
কেন জানেন?
কারণ—সিংহ একটা হাড্ডির বদলে তার সামনে এক বাক্স হাড্ডি দেখতে পায়—আপনি, হাড্ডির গোডাউন সাথে মাংস ফ্রি!
সিংহ ছোট ছবির (একটা হাড্ডি) পরিবর্তে আরও বড় ছবি (হাড্ডির বাক্স) তার সামনে দেখতে পায়।
সিংহটার মনোযোগ থাকে তখন আপনাকে খাওয়ার প্রতি, ওই একটা হাড্ডি চুলোয় যাক।
এখানে কুকুর আর সিংহ দুজনেরই একটা মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু আছে। কুকুরের ক্ষেত্রে ছুঁড়ে দেয়া একটা হাড্ডি আর সিংহের ক্ষেত্রে—হাড্ডির বাক্স।
কিন্তু কেবল এই মনোযোগ তাদের সফলতার চূড়ায় নিয়ে যাবে না।
কুকুরের সামনে যতবারই হাড্ডি ছুঁড়ে দেয়া হোক না কেন কুকুর প্রতিবার একটা ছোট ছবি দেখবে এবং সমান উৎসাহে—পূর্ণ মনোযোগের সহিত সাড়া দিবে।
আর সিংহের দিকে হাজারবার ওমন মাংসছাড়া হাড্ডি ছুঁড়ে দিলেও সিংহ সেদিকে কর্ণপাত না করে, তার পূর্ণ মনোযোগ একদিকেই রাখবে—অপেক্ষাকৃত বড় ছবিটায় (মাংসসহ হাড্ডির বাক্স-আপনি)।
ছোট ছবিগুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে বড় ছবিতে মনোযোগ ধরে রাখাটায় সফলতার দিকে নিয়ে যায়।
জীবন চলার পথে আমাদের দিকে এমন অসংখ্য মাংসছাড়া হাড্ডি ছুঁড়ে দিবে। সেসব আপনার আকর্ষণ কেড়েও নিবে কেননা আমরা মানুষ। আমাদের মনোযোগ সেদিকে চলেই যাবে।
আর তাই নিজেকে প্রতিমুহূর্তে সিংহের মত বড় ছবিটা দেখার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
নিজের বড় ছবি বা জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে সিংহের মত সবসময় বড় ছবিটায় মনোযোগ দিতে শিখুন।